দৌলতদিয়ায় ৭ শতাধিক বাস-ট্রাক আটকা
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে সাত শতাধিক পরিবহন নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় আছে। এসব পরিবহনের অধিকাংশই যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। পদ্মাও যমুনা নদীর তীব্র স্রোতে এই রুটে ফেরি চলাচলে দ্বিগুণ সময় লাগায় যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। ফলে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে (মাওয়া) ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সেখানকার যানবাহন এই রুট দিয়ে চলাচল করায় ঘাটে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের লম্বা সারি। প্রতিটি অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কের দুটি সারিতে চার শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে ঘাট থেকে প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে কল্যাণপুর পর্যন্ত তিন শতাধিক অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক সিরিয়ালে আটকে রাখা হয়েছে। তবে এ সময় বাস ও কাঁচামালবোঝাই ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার হতে দেখা যায়।
যশোর থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ট্রাকচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, গোয়ালন্দ মোড়ে দিয়ে দুই দিন অপেক্ষার পর আজ ঘাটে এসেও সিরিয়ালে আটকে আছি। এখনো ফেরির দেখা পেলাম না। আমার সামনে তিন শতাধিক যানবাহন রয়েছে। কখন ফেরির দেখা পাব বুঝতে পারছি না। এদিকে মোড়ে খোলা সড়কে রাত কাটাতে নানা ধরনের বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়। খাবার, পানি ও টয়লেটের সমস্যা তো ব্যাপক।
জেলা ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর (টিআই) তারক চন্দ্র পাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা গোয়ালন্দ মোড়ে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে আটকে রাখছি। ঘাটে সিরিয়াল কমে গেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ট্রাকগুলোকে আবার ছেড়ে দিচ্ছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে যাবাহনের চাপ দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় ঘাটে যানবাহনের সারি সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান এ নৌরুটে ছোট বড় মিলিয়ে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। তবে দুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী বাস ও কাঁচামালের ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
মীর সামসুজ্জামান/এনএ