পদ্মা সেতুর স্প্যানে আঘাতের চিহ্ন নেই : ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের ধাক্কার ভিডিও গণমাধ্যমে দেখানো হয়েছে। এই ঘটনার পর সেনাবাহিনী, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা যৌথভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছেন। স্প্যানের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাননি তারা। সেখানে কোনো ক্ষতও নেই।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ২ ও ৩ নম্বর পিলারের মাঝে স্প্যানের সঙ্গে ফেরির ধাক্কার ঘটনা পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
পানি থেকে সেতুর উচ্চতা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, পানির লেভেল থেকে সেতুর স্প্যানের উচ্চতা ১৮.৩ মিটার হলে চলত। কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কথা বিবেচনায় রেখে উচ্চতা ০.৫ মিটার বেশি করে ১৮.৮ মিটার করা হয়েছে। ১৮.৮ মিটার ধরা হয়েছে পানির লেভেল সর্বোচ্চ ৭.৫ মিটার ধরে। বর্তমানে পানির লেভেল ৬ মিটার।
মন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতু সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প। সেতুর সবগুলো রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে। পদ্মার দুই পারের জেলা সড়ক পথে সংযুক্ত হয়েছে। অক্টোবর থেকে সেতুতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ফেরি শিমুলিয়া ডকইয়ার্ড থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুর ২ ও ৩ নম্বর পিলারের মাঝে ‘ওয়ান বি’ স্প্যানের সঙ্গে এর মাস্তুলের ধাক্কা লাগে । তবে দুর্ঘটনার সময় ফেরিতে কোনো যাত্রী বা যানবাহন ছিল না বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, সেতু পার হয়ে যাওয়ার সময় ফেরির ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ডটি নামানোর কথা ভুলে যান তারা। এতে সেতুর স্প্যানের সঙ্গে লেগে ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ডটি একটু বাঁকা হয়ে যায়। সেতুর স্প্যানের কিছুই হয়নি। ফেরিও ঘাটে চলে গেছে।
এর আগে মাদারীপুরের বাংলাবাজার থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় নৌপথে চলাচলের সময় চারবার পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাত করে কয়েকটি ফেরি। এর মধ্যে ২০ ও ২৩ জুলাই ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারে এবং ৯ ও ১৩ আগস্ট ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করা হয়। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি, তদন্ত কমিটি গঠন এবং ফেরি চালকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ব ম শামীম/এমএসআর/জেএস