সীমা খাতুন

নূরুননাহার খাতুন নামে এক নারী পেয়েছিলেন মাতৃত্বকালীন ভাতার একটি কার্ড। সেই কার্ডের বিপরীতে প্রথমে ৮ হাজার টাকা তোলেন সেই নারী। সেখান থেকে ৪ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেন সীমা খাতুন নামে এক মহিলা ইউপি সদস্য।

পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারী আবার ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়ার পথে সে টাকাও ছিনিয়ে নেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সীমা। এর প্রতিকার চেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন ভুক্তভোগী নারী।

রোববার (২৯ আগস্ট) ইউএনও কার্যালয়ে তদন্তে এর সত্যতা মেলে এবং শুনানি শেষে দোষ স্বীকার করে নেন ইউপি সদস্য সীমা খাতুন। তখন তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন ইউএনও। পরবর্তীতে থানায় এজাহার দেন ভুক্তভোগী। এর পরিপ্রেক্ষিতে সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করে সয়দাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম জানান, ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য সীমা খাতুন এর আগেও এমন প্রতারণার ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। ভুক্তভোগী প্রথমে আমার কাছে অভিযোগ করলে আমি তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করার পরামর্শ দেই।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গোপনীয় সহকারী (সিএ) মো. কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, রোববার দুপুরে সদর ইউএনও আনোয়ার পারভেজের কার্যালয়ে অভিযোগের তদন্ত করা হয়। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইউপি সদস্য সীমা খাতুনকে পুলিশে সোপর্দ করে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় সীমা খাতুন নিজের দোষ স্বীকার করে লিখিতও দেন।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপু ঘোষ জানান, সয়দাবাদ ইউনিয়নের পোড়াবাড়ি উত্তর গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে নুরুন্নাহার খাতুন মাতৃত্বকালীন ভাতা পাচ্ছিলেন। ওই ভাতার টাকা পাইয়ে দিয়েছেন দাবি করে ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সীমা খাতুন কৌশলে দুই দফায় ৪ ও ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ মিললে সীমা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান ঢাকা পোস্টকে জানান, প্রতারণার অভিযোগে নুরুন্নাহার খাতুন বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত নারীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

শুভ কুমার ঘোষ/এমএসআর