কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের ঢল
মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে টানা ১৪০ দিন বন্ধ ছিল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। দীর্ঘসময় পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা সৈকত সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৯ আগস্ট উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ওই দিন থেকেই স্থানীয় ও আশপাশের জেলার দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা কুয়াকাটা সৈকতে ভিড় করেন। চিরচেনা রূপে ফিরে আসে কুয়াকাটা সৈকত। তবে এখন পর্যন্ত বিদেশি কোনো পর্যটকের দেখা মেলেনি।
শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সোমবার (৩০ আগস্ট) যুক্ত হয়েছে জন্মাষ্টমীর ছুটি। ফলে রোববার (২৭ আগস্ট) একদিনের ছুটি নিয়ে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় চারদিনের ভ্রমণে এসেছেন পর্যটকরা। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) শেষ বিকেল থেকে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসু কুয়াকাটা এসেছেন।
বিজ্ঞাপন
ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা এস এম মুন্না বলেন, সপরিবারে চারদিনের জন্য কুয়াকাটা এসেছি। কুয়াকাটা সৈকতজুড়ে এতো পর্যটক হবে আমার ধারণা ছিল না। জায়গাটা অনেক সুন্দর। ভালো লাগছে।
এদিকে প্রায় সাড়ে চার মাস পর পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ায় কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। মুক্ত হাওয়ায় একটু নিশ্বাস নিতে দলে দলে হাজার হাজার পর্যটক কুয়াকাটা এসেছেন। এতে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। পর্যটকদের আগমনে আবাসিক হোটেল-মোটেল, ঝিনুক মার্কেট, খাবার হোটেল, রেস্তোরাঁসহ পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। বেচাকেনার ধুম পড়ে গেছে। হাসি ফুটেছে সৈকতের মোটরবাইক চালক, ফটোগ্রাফারদের মুখেও।
বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। উত্তাল সমুদ্রে গোসল, হৈ হুল্লোড় আর দৌড়ঝাঁপ করে আনন্দ উপভোগ করেছেন পর্যটকরা। সমুদ্র সৈকতে এসে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকা মানুষগুলো যেন স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।
কুয়াকাটা সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ঝন্টু বলেন, করোনার কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় লোকসান হয়েছিল। পর্যটকদের সমাগম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও বেড়েছে। একই কথা বলেন সৈকতের আচার ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব শরীফ বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। পর্যটকদের আগমন নিয়মিত থাকলে অচিরেই লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
কাজী সাঈদ/আরএআর