দিনাজপুরে অপহরণের ঘটনায় সিআইডির দুই সদস্য বরখাস্ত
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থেকে মা-ছেলেকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ রংপুর সিআইডির দুই সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃতরা হলেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক ফারুক।
শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুর সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আতাউর রহমান। তবে সাময়িক বরখাস্ত সংক্রান্ত কোনো লিখিত আদেশ এখন পর্যন্ত রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে পৌঁছায়নি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, মা-ছেলেকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। এটি ঢাকা থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত। তবে এখনও আদেশের লিখিত কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে মা-ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দিনাজপুর সদর উপজেলার দশমাইল মোড় এলাকা থেকে সিআইডির তিন সদস্যসহ পাঁচজনকে আটক করে দিনাজপুর জেলা পুলিশ। আটকদের মধ্যে একজন এএসপি, একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবল ছিলেন। তাদের মধ্যে এএসআই ও কনস্টেবল ২১ আগস্ট থেকে ১০ দিনের ছুটিতে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে দিনাজপুর আমলি আদালত-৪ এর বিচারক শিশির কুমার বসু তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় এএসপিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী লুৎফর রহমানের ভাই খলিলুর রহমান বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় অপহরণ মামলা করেছেন। মামলায় রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক ফারুক, মাইক্রোবাস চালক হাবিব ও নিমনগর বালুবাড়ী এলাকার এনামুল হকের ছেলে ফসিহউল আলম পলাশসহ ৯ জনের নামে হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত তিন থেকে চারজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। দায়ের করা এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস