দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলাসহ আরও চারটি মামলায় ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাইনকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ।

বুধবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে ফরিদপুরের ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফাইনের নাম উঠে আসায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, ফাইনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হচ্ছে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা। ২০২০ সালের শুরুর দিকে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে ফরিদপুরে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়। এতে আটক হন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল।

তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্জিত দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা হয়। তারা দুজন বিভিন্ন সময়ে আদালত ও পুলিশের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলে ফরিদপুরের আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম উঠে আসে।

এ পর্যন্ত যাদের নাম এসেছে, তদের অনেককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তারই ধারাবাহিকতায় গ্রেফতার করা হলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফাইনকে।

পুলিশ জানায়, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ফরিদপুর শহরে ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে ফাইনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সভাপতি শওকত আলী জাহিদের ওপর হামলা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি ক্যাপ্টেন বাবুল ও অলোক সেনের ওপর হামলাসহ বহু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনি। তার বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) জামাল পাশা, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কর্মকার, উপপরিদর্শক শাহীনুর রহমান ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) জামাল পাশা বলেন, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইনকে আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এনএ