দেশের আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ কাঠগড়ায় বসে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন- এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ঢাকা পোস্টসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। 

আদালতে দায়িত্বে অবহেলার কারণে এক এটিএসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের পর ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) পঙ্কজ বড়ুয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। তদন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. শাহ নেওয়াজ ও সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এ কে এম রাকিবুর রেজা।

বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান। তিনি বলেন, ঘটনা জানার পর এটিএসআই সাহাব উদ্দিন, কস্টেবল আব্দুল কাদের ও আব্দুস সালামকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। 

গত সোমবার (২৩ আগস্ট) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস সাক্ষ্য দেওয়োর সময় সিনহা হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি টেকনাফ থানা পুলিশের বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ কাঠগড়ায় বসে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তিনি বেশকিছুক্ষণ ধরে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে কোনো পুলিশ সদস্য তার হাতে মোবাইল ফোন দিয়েছেন।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি এই প্রদীপ কুমার দাস। মামলার অন্য আসামিদের স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে ওসি প্রদীপ কুমারই সিনহাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে গত সোমবার আলোচিত এই হত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।

মহিব/এমএএস/জেএস