অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় মুঠোফোনে কথা বলছিলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। এ নিয়ে ঢাকাপোস্টসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ওসি প্রদীপের কাঠগড়ায় কথা বলা বেআইনি দাবি করে বিষয়টি বিজ্ঞ বিচারকের নজরে আনার কথা বলছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

বুধবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একজন আসামি কীভাবে কাঠগড়ায় মুঠোফোনে কথা বলতে পারেন? দায়িত্বরতরা কী করছিল? বিষয়টি বিজ্ঞ বিচারকের নজরে আনব।

এর আগে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। কীভাবে ভাইকে হত্যা করা হয়, সেই বর্ণনা আদালতে উপস্থাপন করছিলেন তিনি। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তখন ১৫ আসামি। তাদের মধ্যে রয়েছেন টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস।

দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ দেখা যায় আসামি প্রদীপ কুমার কাঠগড়ায় বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন! সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি এই প্রদীপ কুমার দাস।

আজ মামলার দুই নম্বর সাক্ষী শাহেদুল ইসলামের বাকি জবানবন্দি নেওয়া হবে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/এসপি