ছুটির দিনে পদ্মা সেতু এলাকায় হাজারো দর্শনার্থী
মুন্সিগঞ্জর লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ছুটির দিনে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দেশের দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজার হাজার দর্শনার্থী।
যাদের পদচারণায় মুখর পদ্মা নদীর মাওয়া প্রান্তের কয়েকটি পয়েন্ট। তবে করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ। এ নিয়ে তদারিকও নেই প্রশাসনের। ছুটির দিনে দূর-দূরান্তের সব শ্রেণির মানুষের পথ মিশেছে মাওয়ায়।
বিজ্ঞাপন
দর্শনার্থীরা জানালেন, বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ পদ্মা সেতু কাছ থেকে এক নজর দেখার জন্য এখানে ছুটে এসেছেন। একই সঙ্গে পদ্মার নীল জলরাশির ঢেউও দেখবেন; ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবেন তারা।
এদিকে পদ্মার ঢেউয়ের সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন অনেক দর্শনার্থী। কেউ কেউ স্পিডবোট, ট্রলার নিয়ে নদীর বুকে ভ্রমণে মেতেছেন। আবার কেউ নাচ-গানে উপভোগ করছেন পদ্মার সৌন্দর্য।
ঢাকা থেকে আসা দর্শনার্থীরা জানান, এখানকার পরিবেশ অনেক ভালো। করোনার সংক্রমণের কারণে এক বছর গৃহবন্দি ছিলেন তারা। দীর্ঘদিন পর নদীর পাড়ে ঘুরতে এসে অনেক ভালো লাগছে তাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে প্রচুর দর্শনার্থী। কিন্তু সরকার নির্দেশিত করোনার স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানছে না। অধিকাংশ দর্শনার্থীর মুখে মাস্ক নেই। নেই স্বাস্থ্য সচেতনতাও।
পাশাপাশি পদ্মার পাড়ের বালুতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে ব্যবহৃত মাস্ক ও বিভিন্ন জিনিসপত্র। পড়ে আছে ব্যবহৃত পানির বোতল ও পলিথিন ব্যাগ। এতে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ; ক্ষতি হচ্ছে মানুষের।
মেদেনীমন্ডল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন খান বলেন, এখানে সরকার নির্দেশিত করোনার স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। অনেকে মাস্ক পরেন না। স্বল্পসংখ্যক কর্মী দিয়ে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খায় প্রশাসন।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন বলেন, আমাদের লোকবল পর্যাপ্ত নয়। যে কয়েকজন আছেন তাদের দিয়ে দর্শনার্থীদের সামাল দেওয়া কঠিন হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশ আছে কয়েকজন। তারা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় কাজ করে। তবে আগের চেয়ে দর্শনার্থীদের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। এজন্য সামাল দেওয়া কঠিন।
এএম