দেশে সুশাসনের অভাবে মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে : জিএম কাদের
ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা ছাড়া দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেছেন, জাতীয় পার্টি সরকার ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর দেশে সুশাসন নেই। সুশাসনের অভাবে মানুষ নির্যাতিত, নিষ্পেষিত হচ্ছে। আইনের শাসন ও প্রয়োগ সঠিকভাবে হচ্ছে না। তাই ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রংপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিএম কাদের এসব কথা বলেন। নগরীর সেন্ট্রাল রোডে পার্টির কার্যালয়ে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
জিএম কাদের বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জনগণ পরিবর্তন চাচ্ছে। এরশাদ সরকারের পর মানুষ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দেখেছে। এখন অচল মুদ্রা বাদ দিয়ে নতুন মুদ্রা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনগণ। জাতীয় পার্টিকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলকে সুসংগঠিত করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে নেতৃত্ব মেনে চলতে হবে। নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও বন্ধন সৃষ্টি করতে হবে। তাহলেই আমরা যে কোনো প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করতে পারব।
এ সময় রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে আগামী সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।
জিএম কাদের বলেন, সকলের প্রতি আমার নির্দেশ, সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে দলের জন্য মোস্তফার জন্য কাজ করবেন। নির্বাচনে কারচুপি করা হলে বরদাস্ত করা হবে না। কোনো রকম ছাড় দেবেন না। ষড়যন্ত্র করা হলে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, মহানগর যুব সংহতির সভাপতি শাহিন হোসেন জাকির প্রমুখ।
সভায় রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ছাড়াও মহানগর জাতীয় পার্টির ৩৩টি ওয়ার্ডের সভাপতি-সম্পাদকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর