সিলেটে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে মানুষের অপেক্ষা বাড়ছেই। টিকা কার্যক্রমের শুরুতে টিকা নেওয়া মানুষের সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে তা বেড়েছে কয়েকগুণ। গণটিকা, নিয়মিত টিকা দিয়েও অপেক্ষমাণ মানুষের সংখ্যা কমানো যাচ্ছে না।

সর্বশেষ শুক্রবার (২০ আগস্ট) পর্যন্ত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ নিবন্ধন করে টিকা নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। এছাড়া মডার্নার টিকা বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ২ হাজার ৭৬২ বিদেশগামী।

এদিকে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নগরে আরও টিকা কেন্দ্র বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। প্রথমবার ১১টি নতুন কেন্দ্রের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করলেও সাড়া মেলেনি। তবে দুদিন আগে আবারও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ আবার ৭টি কেন্দ্রের অনুমোদন চেয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, জটিলতা বাড়ছে বিদেশগামী যাত্রীদের টিকা নিয়েও। প্রথমে বিদেশযাত্রীদের জন্য মডার্নার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সর্বশেষ বুধবার তা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এমন অবস্থায় ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করা সিলেটের ২৭৬২ জনকে কোন টিকা দেওয়া হবে তাও সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে জানানো হয়নি। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাছে নির্দেশনা না থাকায় তারাও বলতে পারছেন না এখন বিদেশযাত্রীদের টিকা কীভাবে দেওয়া হবে?

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা গত বুধবার আবারও ৭ কেন্দ্রে অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। এই কেন্দ্রগুলো অনুমোদন হলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। কারণ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যদি প্রথম ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজ একসঙ্গে দেই তাহলে প্রতিদিন প্রচুর মানুষের ভিড় জমবে। এতে স্বাস্থ্যবিধি পালন করাটা কঠিন হয়ে পড়বে।

এছাড়া ওসমানীর টিকা কেন্দ্রের বুথগুলো পঞ্চমতলায়। সেখানে ওঠার জন্য দুটি লিফট থাকলেও একটি ভালো আরেকটি মাঝেমধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। আর মানুষও যতক্ষণ পর্যন্ত ওভারলোডের সতর্ক সংকেত না বাজে ততক্ষণ পর্যন্ত লিফটে উঠতেই থাকে। এতে লিফটেও স্বাস্থ্যবিধি থাকে না বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমাদের কাছে একটা চিঠি এসেছে, চিঠিতে বলা হয়েছে মডার্নার কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। বিদেশযাত্রীদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত এটা জানতে চেয়ে আমি আবার চিঠি দিয়েছে। কারণ ‘আমি প্রবাসী’ এর মাধ্যমে ২৭৬২ জন পাসপোর্ট দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা জানতে চিঠি দিয়েছি।

বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, সিলেটে প্রথম ডোজ কবে থেকে শুরু হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা আশা করছি শিগগির আবার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু করতে পারব।

তুহিন আহমদ/এমএসআর