ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় যশোর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে টিকা রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলছিল। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সবাইকে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে। আসবাবপত্র ও ১০-১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় হামলাকারীদের ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম হন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু। প্রায় ২০ মিনিট তাণ্ডব চালিয়ে ফিরে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। 

যশোর শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু বলেন, গত এক মাস ধরে বিএনপির কার্যালয়ে করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নাম নিবন্ধনের কাজ চলছে। মঙ্গলবার সকালে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে দলীয় চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগের একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা অফিসে থাকা কম্পিউটার, টেলিভিশন, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে এবং একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা অফিসের সামনে থাকা ১০টি মোটরসাইকেল ভেঙে ফেলে এবং ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকে।

এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাহউদ্দিন কবীর পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লবের নেতৃত্বে এ হামলা করা হয়েছে। তারা শুধু বিএনপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করেনি, পার্টি অফিসের আশপাশে থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের ওপরও হামলা করেছে। এমনকি জেলার সিনিয়র নেতা দেলোয়ার হোসেন খোকনের বুকেও লাথি মারা হয়েছে। 

তিনি বলেন, জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের জেলা ও শীর্ষ নেতাদের খুশি করতে এই হামলা চালানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাহউদ্দিন কবীর পিয়াস ও সাধারণ সম্পাক তানজীব নওশাদ পল্লবের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কয়েক দফা কল দেওয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি। 

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) বেলাল হোসাইন ও কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, পুলিশ বিএনপি অফিসে হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তৎপরতা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

জাহিদ হাসান/আরএআর