ভারীবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার (১৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এ ছাড়া ছাতক শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। তবে সীমান্ত নদী যাদুকাটার পানি ৪৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে পর্যটনখ্যাত উপজেলা তাহিরপুরে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সুনামগঞ্জ তাহিরপুর সড়কের দুই জায়গা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় এই দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। আনোয়ারপুর সেতুর নিচের অংশ পাহাড়ি ঢলে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া শক্তিয়ারখলার ১০০ মিটার সড়ক ডুবে গেছে। এই দুই জায়গার কারণে যাত্রীদের ভেঙে ভেঙে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

ঢাকা থেকে রাকিবুল আলম বন্ধুদের সঙ্গে তাহিরপুরে ঘুরতে এসেছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বিশ্বম্ভরপুরের ১০০ মিটার সড়কের এখানে এসে দেখি সড়ক পানির নিচে। পরে এখান থেকে নৌকা করে পার হয়ে আবারও অটোরিকশায় উঠি। চালক আনোয়ারপুর সেতুর নিচের অংশে নামিয়ে দেন। কারণ, সেতুর নিচের অংশ পানিতে ডুবে গেছে। এখানেও নৌকা করে পার হয়ে মোটরসাইকেল করে তাহিরপুর আসি।

যাত্রী কাদের মিয়া বলেন, তাহিরপুর থেকে সুনামগঞ্জের ভাড়া ১০০ টাকা। এখন সড়কের দুই জায়গায় পানি ওঠায় ১৫০ টাকা লাগছে। কিছু করাই নেই। পরিস্থিতির শিকার আমরা। ভেঙে ভেঙে যাওয়ার জন্য এই দুর্ভোগ।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুদ্দোহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। সেখানে ভারী বৃষ্টি হলে সুনামগঞ্জে নদী নদীতে আরও পানি বাড়তে পারে।

সাইদুর রহমান আসাদ/এনএ