পাবনায় সিরিঞ্জে করোনার টিকা না নিয়ে শরীরে শুধু সুঁই পুশের অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় জড়িত দুই সিনিয়র নার্সকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কেএম আবু জাফর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসানকে। অন্য দুই সদস্য হলেন- পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জাহিদুর রহমান ও জেলা পাবলিক হেলথের এক নার্স। 

তিনি আরও বলেন, বুধবার বিকেলে ঘটনাটি জানার পর পরই টিকা কেন্দ্রে নিয়োজিত দুই স্টাফ নার্স মেরিনা গোমেজ ও মিতা খাতুনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্ত কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান বলেন, লোকমুখে শুনেছি আমাকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। তবে অফিসিয়ালি এখনো (বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা) কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি।

পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। দায়িত্ব ও কর্তব্যহীন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

উল্লেখ্য, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের এমবিবিএস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সাবাহ মারিয়ম অন্তিকা করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার জন্য বুধবার সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়ান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে টিকা ছাড়াই খালি সিরিঞ্জ তার শরীরে পুশ করা হয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীর বাবা অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান। 

রাকিব হাসনাত/এসপি