কারখানা খোলার খবরে সড়কে শ্রমিকদের ভিড়
১ আগস্ট খুলছে কলকারখানা। এ খবরে কর্মস্থলে ফিরতে শনিবার সকাল থেকে মহাসড়কে শ্রমিকদের ঢল নেমেছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে নারী-পুরুষ শ্রমিকদের ঢল লক্ষ্য করা গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা ছোট ছোট যানে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
শনিবার সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কর্মস্থলে ফেরা শ্রমিকদের আনাগোনা বেড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভিড় বাড়তে থাকে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, সিএনজি ও ভ্যানগাড়িতে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীরা চলাচল করছেন। শ্রমিকদের অতিরিক্ত চাপে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। মহাসড়কের স্কয়ার মাস্টারবাড়ী, জৈনাবাজার, নয়নপুর, মাওনা চৌরাস্তা, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী, বাঘের বাজার, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর চৌরাস্তা ও টঙ্গী এলাকার শ্রমিকরা দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে।
সকাল ৯টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তায় কথা হয় নারী শ্রমিক রেহেনা আক্তারের সঙ্গে। তিনি জানান, ছোট সন্তানকে কোলে নিয়ে ভোর ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে রওনা হয়েছেন টঙ্গীর উদ্দেশে। ৬০ কিলোমিটার সড়ক পার হতে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশায় আসতে হয়েছে। এতে তাকে ৭০০ টাকা খরচ গুনতে হয়েছে। বাকী ৪০ কিলোমিটার পথ তাকে অতিরিক্ত ভাড়ায় চলতে হবে।
অপর শ্রমিক আমিনুল ইসলাম জানান, মহাসড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঈদের ছুটির পর কারখানা খুলে দেওয়ায় তাদের বিপদে পড়তে হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে রয়েছে সকল শ্রমিক। গণপরিবহন বন্ধ রেখে হঠাৎ কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। গণপরিবহন খুলে দিয়ে কারখানা খোলা উচিত ছিল। তাহলে এ রকম দুর্ভোগ পোহাতে হতো না তাদের।
জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এমদাদুল হক জানান, কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণায় সড়কে কর্মস্থলে ফেরা শ্রমিকদের চাপ বেড়েছে।
শিহাব খান/এসপি