সেই প্রবাসীকে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ
তিন ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে এসেও যুক্তরাজ্যে যেতে না পারা প্রবাসী জামিলাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিমান বাংলাদেশের পাঁচজন কর্মকর্তা জামিলার বাসভবনে সাক্ষাৎ করে তাকে এ আশ্বাস দেন।
প্রবাসী জামিলা চৌধুরী বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশের পাঁচজন কর্মকর্তা আমার সঙ্গে এসে দেখা করেছেন। আমাকে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বিমান বাংলাদেশের স্টেশন ম্যানেজার চৌধুরী মো. ওমর হায়াত ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের একটি টিম উনার সঙ্গে দেখা করেছেন। বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আচরণ খারাপ লাগলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। উনার ফ্লাইটের তারিখ পরিবর্তন করে আগামী বুধবার করে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য উনার কাছ থেকে শুধু তারিখ পরিবর্তনের নির্ধারিত ফি নেওয়া হয়েছে।
এর আগে অতিরিক্ত লাগেজের কারণ দেখিয়ে প্রবাসী জামিলা চৌধুরীকে বোর্ডিং পাস দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের সহায়তাও পাননি বলে অভিযোগ করেন জামিলা। গত বুধবার (২৮ জুলাই) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে যুক্তরাজ্য যাওয়ার কথা ছিল তার।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী জামিলা চৌধুরী জানান, তার বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে জরুরি ভিত্তিতে তিনি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসেন। বুধবার তার যুক্তরাজ্য ফেরার কথা ছিল। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চেকইনের সময় তার কাছে তিনটি লাগেজ ছিল। লাগেজগুলোর ওজন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ওজনের চেয়ে বেশি ছিল।
জামিলা চৌধুরীর ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি বিমানবন্দরের অভিযোগ বক্সে অভিযোগ করতে যান। সেখানে এক কর্মকর্তার কাছে অভিযোগপত্র চাইলে সেই কর্মকর্তা তাকে স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে আলাপ করার পরামর্শ দেন। সেই সময় তিনি স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে আলাপ করতে গেলে তিনি তিন তলায় রয়েছেন বলে আরেক কর্মকর্তা জানান। এমনকি আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে এই বিষয়ে সাহায্য চাইলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করার কথা জানানো হয়।
জামিলা চৌধুরী বলেন, আমি বিমানবন্দরে অনেকের কাছেই সাহায্য চেয়েছিলাম। কিন্তু কেউই আমাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেননি। আমি তিন ঘণ্টা আগেই বিমানবন্দরে প্রবেশ করি। তবুও আমি যুক্তরাজ্য ফেরত যেতে পারিনি।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইট ছিল জামিলা চৌধুরীর। ওই ফ্লাইটে আরও ২১০ জন যাত্রী ছিল। ফ্লাইট ছাড়ার এক ঘণ্টা আগেই যাত্রীদের সুবিধার্থে ও নিরাপত্তার কারণে কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। জামিলা চৌধুরীর চেক ইনের সময় তার সঙ্গে তিনটি লাগেজ ছিল। যার ওজন ছিল ৮৪ কেজি। একজন যাত্রী মাত্র ৪০ কেজি ওজন ফ্রিতে নিয়ে যেতে পারেন। এর বেশি হলে তাকে প্রতি কেজি ওজনের জন্য ২ হাজার ৬১১ টাকা করে পরিশোধ করতে হয়। তবে তিনি সেই টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। এমনকি কাউন্টার বন্ধের আগে লাগেজের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেননি।
তবে প্রবাসী জামিলার অভিযোগ ছিল, তিনি একটি লাগেজ নিয়ে যাওয়ার কথা জানালে বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কাউন্টার বন্ধের কথা জানায়। এমনকি তাকে ৫৩ কেজির লাগেজ নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। এ জন্য তাকে ২৬ হাজার টাকা পরিশোধ করতেও বলা হয়।
তুহিন আহমদ/এসপি