শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
বাতাসের কারণে পদ্মা নদী উত্তাল থাকায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বাতাসের কারণে যে পর্যন্ত নদী উত্তাল থাকবে, সেই পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। ফেরি বন্ধ থাকায় এখন পর্যন্ত ঘাটে ১০০ থেকে ১৫০টি যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ির ভিড় ছিল। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে গত কয়েক দিনের ন্যায় আজও ঢাকায় ফিরেছিরেন দক্ষিণাঞ্চলের শত শত কর্মজীবী মানুষ।
এ সময় ফেরিতে গাদাগাদি করে পারাপার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে ঢাকা পোস্টের মাদারীপুর প্রতিনিধি নাজমুল মোড়ল জানান, বৈরী আবহাওয়ায় মাঝ পদ্মার দীর্ঘ পথে প্রচণ্ড ঢেউ থাকায় ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে ভোর থেকে নৌরুটে চারটি রো রো ও দুটি কে-টাইপ ফেরি চলাচল করেছে। এদিকে শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক যানবাহন আটকে আছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি এবং একই সঙ্গে ঝড়ো বাতাস বইতে থাকায় উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা নদী।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের সহব্যবস্থাপক মো. জামিল হোসেন বলেন, ঝুঁকি এড়াতে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত ফেরি বন্ধ থাকবে।
ব.ম শামীম/এনএ