সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পিছিয়ে নেওয়া হচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষ্যগ্রহণের দিন।

রোববার (২৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, গত ২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল এ মামলার চার্জ গঠন করেন। এ সময় বিজ্ঞ বিচারক ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই এ মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। কিন্তু কঠোর লকডাউনের কারণে তা আর হচ্ছে না।

বাদীপক্ষের ১০ জন সাক্ষী তাদের বক্তব্য আদালতে উপস্থাপনের কথা ছিল জানিয়ে ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন, সোমবার (২৬ জুলাই) ভার্চুয়ালি যদি আদালত বসেন তাহলে পরবর্তী তারিখ সম্পর্কে জানা যাবে।

উল্লেখ্য, আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।

ওই বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। 

এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে ২ নম্বর আসামি করাসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করার আদেশ দেন র‌্যাবকে।

এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মামলায় গ্রেফতার ১৪ আসামিকে র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এদিকে সিনহা হত্যা মামলাটি বেআইনি ও অবৈধ দাবি করে ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রধান আসামি লিয়াকতের আইনজীবী মাসুদ সালাহ উদ্দিন একটি মামলা করেন। ওই মামলার বিশেষ কোনো অগ্রগতি নেই।

মুহিব/আরএআর