ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ার খাজানগরসহ চালের মোকামগুলোতে কেজি প্রতি চালের দাম তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত কমেছে। বিদেশ থেকে চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চালের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন মিলাররা।

গত কয়েক সপ্তাহ আগে সব ধরনের চালের দাম বাড়তি ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিদেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সে চাল এখনো বাজারে আসেনি। এরই মধ্যে গত কয়েকদিনের ব্যবধানে কুষ্টিয়ার চালের মোকামে ও খুচরা বাজারে চালের দাম কমেছে তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত। 

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলার বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। অসদুপায়ে কেউ যদি বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সরেজমিনে কুষ্টিয়া খাজানগরের চালের মোকাম ঘুরে জানা যায়, বর্তমানে সরু চাল (মিনিকেট) ৫৬ টাকা কেজি, আঠাশ চাল ৪৬ টাকা কেজি এবং মোটা চাল ৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। যা কয়েকদিন আগেও বিক্রি হয়েছে সরু চাল (মিনিকেট) ৬০ টাকা কেজি, আঠাশ চাল ৫০-৫২ টাকা, মোটা চাল ৪৪ টাকা।

কয়েকটি খুচরা চালের বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে সরু চাল (মিনিকেট) ৫৭ টাকা কেজি, আঠাশ চাল ৪৬ টাকা কেজি এবং মোটা চাল ৪১-৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা বলেন, মোকামে চালের চাম কমায় খুচরা বাজারের সব ধরনের চালের দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতি কেজি চালের দাম প্রায় তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত কমেছে। 

কয়েকজন খুচরা চাল ক্রেতা বলেন, চালের দাম কমেছে। এতে আমরা খুশি। এখন কেজিতে তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত কম দাম নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কুষ্টিয়ার বাজারে সব রকম চালের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যায়। বিশেষ করে কুষ্টিয়ার খাজানগরে সব রকম চাল কেজিপ্রতি বেড়ে যায় ৫-৬ টাকা। অস্থিতিশীল এই চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার এরই মধ্যে বিদেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। 

খাজানগরের কয়েকটি মিল মালিক বলেন, আমাদের বেশি দামে ধান কেনা রয়েছে। এখন বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হলে আমরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবো। দিন দিন চালের বাজারে দাম কমে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি চালের দাম কয়েকদিনে কেজি প্রতি তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত কমেছে। আমদানি করা হলে চালের বাজার আরও পড়ে যাবে।

বাংলাদেশ অটোরাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম বলেন, বিদেশ থেকে চাল আমদানিতে মিলার ও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই বিদেশ থেকে মাত্রাতিরিক্ত চাল আমদানি না করার পরামর্শ দিচ্ছি সরকারকে। কারণ বিদেশ থেকে চাল আমদানির ফলে চালের দাম আরও কমে যাবে। ফলে মিলারদের ব্যবসার চরম ক্ষতি হবে। এরই মধ্যে চালের দাম প্রতি কেজিতে তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত কমেছে। যা এক দুই টাকা থেকে শুরু করে এখন তিন চার টাকায় পৌঁছেছে।

এসপি