ঈদ-পরবর্তী সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষের প্রবেশদ্বার গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে কয়েক শ যানবাহন। এর মধ্যে রয়েছে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক।

নদী পারের জন্য যেসব যানবাহন ঘাটে অপেক্ষা করছে, সেই যানবাহনগুলো বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাতে ঘাটে এসে পৌঁছেছে। ঘাটে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ থাকায় এসব যানবাহন ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করছে।

তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘণ্টাখানেকর মধ্যেই ঘাটে আর কোনো যানবাহন থাকবে না। তখন সরকার ঘোষিত নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। ফেরিতে কোনো যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হবে না।

গোল্ডেল লাইন পরিবহনের যাত্রী ইউসুফ রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছাই। দৌলতদিয়া হাইস্কুল এলাকায় এসে সিরিয়ালে আটকা পড়ি। দীর্ঘক্ষণ আটকে থেকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কখন যে ফেরি পার হতে পারব, তা বলতে পারছি না। তারপর আবার আজ থেকে কঠোর লকডাউন। বাসা পর্যন্ত যেতে পারব কি না, সেটাই ভাবছি।

যশোর থেকে ট্রাকচালক সালাম সরদার বলেন, গতকাল রাতে কাঁচামাল নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়েছিলাম। কিন্তু ঘাটে এসে সিরিয়ালে আটকা পড়ি। ঘাটে কিছুটা চাপ রয়েছে। তবে ফেরির নাগাল পেতে কিছুটা সময় লাগবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘাট এলাকায় যে বাসগুলো সিরিয়াল আটকে রয়েছে, তা গত রাতেই ঘাটে এসেছে। এসব যানবাহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। আশা করছি কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘাট এলাকা ফাঁকা হয়ে যাবে। জরুরি পরিসেবার জন্য ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মীর সামসুজ্জামান/এনএ