মসিকের ৪০১ পয়েন্টে হবে পশু কোরবানি
এবার ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির জন্য ময়মনসিংহ নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের ৪০১টি পয়েন্ট নির্ধারণ করে দিয়েছে সিটি করপোরেশন। একইসঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
মসিক সূত্রে জানা গেছে, নগরবাসীর মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য সিটি করপোরেশন লিফলেট বিতরণ ছাড়াও স্থানীয় ক্যাবল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছে। বিতরণ করা ওই লিফলেটে নির্ধারিত স্থান বাদে কোরবানির পশু জবাই না করা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বেশ কিছু সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।
বিজ্ঞাপন
মসিক সূত্র জানায়, বর্জ্য অপসারণ এবং কোরবানির পশুর হাট সার্বক্ষণিক পরিষ্কার করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া কোরবানির নির্ধারিত স্থান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণের জন্য সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ও স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৬০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যাভলন, ফিনাইল ও অন্যান্য সামগ্রীও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওয়ার্ডভিত্তিক দায়িত্ব দিয়েছে মসিক।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, গত বছর ঈদুল আজহায় কোরবানি থেকে প্রায় ৪০১ টন বর্জ্য হয়। এই পরিমাণ বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই এবারও কাজ করা হচ্ছে। এজন্য ৫০টি গাড়ি, ৩ টি লোডার এবং ৬টি জীবাণুনাশক পানি ছিটানোর গাড়ি দিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করবে মসিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে পরিবেশের সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখার লক্ষ্যে প্রায় ৪২ টন ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হবে।
এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
ঢাকা পোস্টকে মেয়র টিটু বলেন, গতবারের মতো এবারও মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা ভিন্ন আবহে উদযাপিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্ধারিত পয়েন্টে যাতে নগরবাসী পশু কোরবানি দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলের নেতৃত্বে মসিকের টিম প্রতিটি এলাকায় তদারকি করবে। আর কোরবানি পরবর্তী যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সে ব্যাপারেও মসিকের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। নগরবাসীর সহযোগিতা নিয়েই আমরা আমাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করবো।
উবায়দুল হক/এসকেডি