মেট্রোরেলের তৃতীয় চালান নিয়ে মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজ
মেট্রোরেলের তৃতীয় চালান নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে বিদেশি জাহাজ এমভি হরিজন-৯। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) বিকেলে বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ১০টি বগি ও দুটি ইঞ্জিন নিয়ে নোঙর করে পানামা পতাকাবাহী জাহাজটি।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন জানান, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের আমদানিকৃত ১০টি বগি নিয়ে এমভি হরিজন-৯ নামে একটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে। ঈদের ছুটির মধ্যেও বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিদেশি জাহাজটিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সসহ আনুষঙ্গিক দাফতরিক কাজ শেষে মেট্রোরেলের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বগিগুলো ঢাকা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-০৮ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবিএম আরিফুর রহমান বলেন, তৃতীয়বারের মত মোংলা বন্দরে মেট্রোরেলের ১০টি বগি এসে পৌঁছেছে। প্রয়োজনীয় দাফতরিক কাজ শেষে যতদ্রুত সম্ভব নদী পথে এই বগি ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ঢাকায় নেওয়া হবে। এর আগে এই বন্দর থেকে আমরা দুই দফায় ১২টি বগি খালাস করেছি। এখন থেকে এক-দেড়মাস পরপর নিয়মিত মেট্রোরেলের বগি ও যন্ত্রপাতি মোংলা বন্দরে আসবে বলে জানান তিনি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মাদ মূসা বলেন, মঙ্গলবার মেট্রোরেলের তৃতীয় চালান এসে পৌঁছানোর আগে গত ৩১ মার্চ ছয়টি বগি নিয়ে ‘এস পি এন ব্যাংকক’ ও ৯ মে ‘ওশান গ্রেস’ জাহাজে করে আসে আরও ছয়টি বগি।
তিনি আরও বলেন, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা কয়েক বছরে বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লিসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে এসেছে। আশা করি ভবিষ্যতে সরকার মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল আনবে। মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইনারবার ড্রেজিংসহ অনেক কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজ শেষ হলে বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য ২৪ সেট ট্রেন তৈরি করছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি। প্রতি সেট ট্রেনের দুই পাশে দুটি ইঞ্জিন থাকবে। এর মধ্যে থাকবে চারটি করে কোচ। ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোতে থাকবে লম্বালম্বি আসন। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুই পাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংবলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৩৮ জন।
তানজীম আহমেদ/আরএআর