রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আরও ৪৭৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। চলতি মাসের উনিশ দিনে বিভাগে করোনায় প্রাণ হারাল ২৪২ জন। গত দিনের (সোমবার) তুলনায় বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু বাড়লেও শনাক্ত কমেছে।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মো. জাকিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের চারজন, দিনাজপুরের তিনজনসহ রংপুর ও নীলফামারীর দুইজন করে রয়েছেন।

এ সময়ে বিভাগে ১ হাজার ৯৬১ নমুনা পরীক্ষা করে ৪৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরের ১২৩ জন, দিনাজপুরের ৯৬ জন, কুড়িগ্রামের ৫৭ জন, নীলফামারীর ৫১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৪৮ জন, গাইবান্ধার ৪৮ জন, পঞ্চগড়ের ৪২ জন ও লালমনিরহাটের ৯ জন রয়েছেন। আক্রান্তের হার ২৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।

নতুন করে মারা যাওয়া ১১ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬৬ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলার ২৪৪ জন, রংপুরের ১৬০, ঠাকুরগাঁওয়ের ১৪৫, নীলফামারীর ৫৪, লালমনিরহাটের ৪৬, পঞ্চগড়ের ৪১, কুড়িগ্রামের ৩৯ ও গাইবান্ধার ৩৭ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮২৫ জন।

এছাড়াও নতুন শনাক্ত ৪৭৪ জনসহ বিভাগে ৩৭ হাজার ৯৯৫ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুুর জেলায় ১১ হাজার ৩৯৩ জন, রংপুরের ৮ হাজার ৩৪৬ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৫ হাজার ২৭৭ জন, গাইবান্ধার ৩ হাজার ২১১ জন, নীলফামারীর ২ হাজার ৯০৭ জন, কুড়িগ্রামের ২ হাজার ৭৯৪ জন, লালমনিরহাটের ২ হাজার ২ জন এবং পঞ্চগড়ের ২ হাজার ৬৫ জন রয়েছেন।

করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এছাড়া ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোত বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।  

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর