মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি সরাতে সময় লাগে

টাঙ্গাইলে মহাসড়কে রাত থেকেই থেমে থেমে পরিবহন চলাচল করছে। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিহাতী এলেঙ্গা থেকে টাঙ্গাইলের করোটিয়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে কোথাও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ধীরগতিতে চলাচল করছে পরিবহনগুলো।

তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী সড়ক লেনে এই যানজট এবং ধীরগতি থাকলেও ঢাকাগামী সড়ক লেনে তেমন পরিবহন নেই।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে দেখা গেছে, এলেঙ্গা থেকে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। রাবনা বাইপাস থেকে টাঙ্গাইলের করোটিয়া পর্যন্ত মহাসড়কে গাড়ি থেমে থেমে চলছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী ও চালকরা।

ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলে আসা তানভীর আহমেদ জানান, ঢাকা থেকে গতকাল সোমবার (১৯ জুলাই) বিকেলে বাসে উঠেছিলাম টাঙ্গাইল যাওয়ার জন্য। ঢাকার আব্দুল্লাহপুর পার হতেই যানজটের কবলে পড়ি। রাত ১০টায় আব্দুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়া বেড়িবাঁধ পর্যন্ত এসে আবারও আটকে যায় গাড়ি। রাতটা সড়কেই কেটেছে। সকালে টাঙ্গাইল এসে পৌঁছেছি।

চালক ও যাত্রীরা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গতকাল থেকেই আব্দুল্লাহপুর থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত যানজট লেগেই ছিল। তবে মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে কোনো যানজট ছিল না। এতে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক, নারী ও শিশুরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

হাইওয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, মহাসড়কে পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ভোররাত থেকেই মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে টাঙ্গাইলের করোটিয়া পর্যন্ত সড়কে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত ঢাকা পোস্টকে জানান, মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি সরাতে সময় লাগার কারণে সড়কে পরিবহনের চাপ বেড়ে গেছে। তবে দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ ছাড়া মহাসড়কে প্রচুর পরিমাণে পরিবহন চলাচল করায় চাপ বেড়ে গেছে। মহাসড়কে পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা করেন তিনি।

অভিজিৎ ঘোষ/এনএ