ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাভারের প্রায় সব পোশাক কারখানা ছুটি হাওয়া বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ সৃষ্টি হয়েছে মহাসড়কে। এছাড়া গণপরিবহনে চাপ বেশি থাকায় সাভারের বিভিন্ন মহাসড়কে তীব্র যানজটে পড়েছে মানুষ। দুই মহাসড়কে তীব্র যানজটের শেষ মুহূর্তের বাড়ি ফেরা মানুষ পড়েছে ভোগান্তিতে।

সোমবার (১৯ জুলাই) বিকেলে সাভারে বিভিন্ন মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, তীব্র যানজটে ঘরে ফেরা মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। গাড়ির চাকা যেন ঘুরছে না। ৫ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগছে মহাসড়ক ভেদে আধাঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা। এতে করে শুরুতেই ভোগান্তিতে পড়েছে সাভারের নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শ্রমজীবীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে নবীনগর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার যানজট, টঙ্গী-আশুলিয়া ইপিজেড সড়কের বাইপাইল থেকে ধুউর পুলিশ চেকপোস্ট পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শ্রমজীবীরা জানায়, আমরা কয়েক দিন ধরে ছুটির জন্য অধীর আগ্রহে ছিলাম। আজ কাঙ্ক্ষিত ছুটি পেয়েছি। ছুটি পেয়েই একসঙ্গে সবাই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। এতে করে রাস্তায় এমনিতে মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। ভ্যান, রিকশা ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনও সড়কে নেমে পড়েছে। তাই যানজট একটু বেশি সৃষ্টি হয়েছে।

তারা আরও জানায়, ধাপে ধাপে কারখানাগুলো ছুটি হলে আমরা এমন ভোগান্তিতে পড়তাম না। গত বছরে আমরা পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারিনি। এবার সুযোগ হয়েছে তাই তো সবাই বাড়ি যাবেই। আর বাড়ি গেলে এ ধরনের ভোগান্তি স্বীকার করতেই হবে।

সাভার হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক সাদ্দাত করিম জানান, যানজট নিরসনে থানা, হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। আমরা চেষ্টা করছি সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। যানজট নিরসনে যৌথভাবে কাজ করায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানজট নেই বললেই চলে। তবে নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী আশুলিয়া ইপিজেড সড়কে একটু যানজট রয়েছে।

মাহিদুল মাহিদ/এমএসআর