রংপুরের মিঠাপুকুরে দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০-১২ জন। আহতদের উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

রোববার (১৮ জুলাই) সকাল পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বলদিপুকুর মোস্তফা কোল্ড স্টোরেজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে একজন মেয়ে শিশু ও চারজন পুরুষ রয়েছে। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বড়দরগাহ্ হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারে বড়দরগাহ্ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ামিন-উদ-দৌলা ঢাকা পোস্টকে জানান, নিহত পাঁচজনের মধ্যে হাজী আব্দুল মতিন (৭২) নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন। তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা এলাকার মৃত আব্দুল হামিদ মুন্সির ছেলে।

বাকিরা হলেন- সাভারের ধামরাই চৌতাল এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে সেলফি পরিবহনের বাসচালক আব্দুল খলিল (৫০), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের জমির উদ্দিনের ছেলে কৃষক ফরিদ (৩৫), একই জেলার সাদুল্যাপুরের ইসুবপুর গ্রামের বাবু মিয়ার মেয়ে বাবলী আক্তার (৯) ও নীলফামারীর সৈয়দপুরের কাজীপাড়ার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে আহসান হাবীব (২৭)। এদের মধ্যে দুর্ঘটনায় নিহত শিশু বাবলী আক্তারের মা সেতারা বেগম আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুুুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস দুটি ছিটকে গিয়ে সড়কের দুপাশের খাদে পড়ে। এতে দুমড়ে মুচড়ে যায় বাসের সামনের অংশ। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খাদে পড়ে থাকা বাস দুটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুজ্জামান। তিনি জানান, রোববার সকালে বলদিপুকুর এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী জোহানা পরিবহন ও ঢাকাগামী সেলফি পরিবহন নামে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি