সাভারের আশুলিয়ায় টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে যানজট যেন কমছেই না। গত তিন দিন ধরে সড়কটিতে যানজট লেগেই আছে। জমে থাকা পানি ও খানাখন্দে ভরা সড়কের কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। সকালে যানজট কিছুটা কম থাকলেও বিকেল হলেই তীব্র হচ্ছে। 

শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে সড়কের বাইপাইল থেকে ধউর বেড়িবাঁধ পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে হাজারো যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। ১২ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে সময় লাগছে ঘণ্টার পর ঘন্টা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাভারের মহাসড়কগুলোতে সকালে কিছুটা যানজট থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। তবে এখন বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে অনেক গরুর ট্রাক ঢাকায় প্রবেশ করায় পরিবহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। এ কারণেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল থেকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আশুলিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে ওঠেন কামাল। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত গাড়িতে বসে থেকে সবে জামগড়া পর্যন্ত এসেছি। অন্য মহাসড়কে তেমন যানজট নেই। এই সড়কে যানজট লেগেই আছে। 

ডিজিটাল প্রিন্ট হাউসের ডিজাইনার নাজিম বলেন, আমি কাজের জন্য জিরাবো বাস স্ট্যান্ডে যাব। বাইপাইল থেকে গাড়িতে উঠেছিলাম। তীব্র যানজটে ইউনিক নেমেছি। সময় বাঁচানোর তাগিদে হেঁটে রওনা করেছি। এই সড়কে সব সময় পানি জমে থাকে। গাড়ি চলাচল করায় খানাখন্দে ভরে গেছে। তাই গাড়ি চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই যানজট লেগেই থাকে। তাছাড়া লকডাউন শিথিল হওয়ায় গাড়ির চাপও বেড়েছে। তবে যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের চালক আমজাদ বলেন, এই সড়কে সব সময় যানজট থাকেই। আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। যানজট নিরসনে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখি না। রাস্তাঘাটের খুব খারাপ অবস্থা। যত খানাখন্দ আর পানি তাতে যানজট তো থাকবেই।

গ্রামীণ সেবা পরিবহনের চালক মঞ্জু বলেন, সকালে ভালোই গাড়ি চালালাম। তেমন যানজট ছিল না। হঠাৎ দুপুরের পর থেকে যানজট শুরু হতে থাকে। ধীরে ধীরে গাড়ির চাকা বন্ধ গেছে। দীর্ঘ সময় পর একটু একটু করে গাড়ি চলছে।

সাভার ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের টিম কাজ করছে। আমরা যানজট নিরসনে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সড়কটি সিঙ্গেল সড়ক হওয়ায় একটু যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

মাহিদুল মাহিদ/আরএআর