শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ির, লঞ্চঘাটে যাত্রীর চাপ
ঈদুল আজহা সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে। এতে ঘরমুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাটে। এ ঘাটে গত দুই দিনের মতো আজও পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি ও যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। তবে লঞ্চঘাটে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই যাত্রীরা গাদাগাদি করে উঠছে লঞ্চে।
শনিবার (১৭ জুলাই) ভোর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হয়ে ফেরি ও লঞ্চে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহা সামনে রেখে দুদিন ধরে এ ঘাট দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। ফলে দুদিন ধরে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ লেগে আছে। স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে আশা অধিকাংশ যাত্রী লঞ্চে করেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ফেরিতে গত ঈদের মতো যাত্রীর চাপ নেই। তবে অব্যাহত রয়েছে যানবাহনের চাপ।
এদিকে লঞ্চে মানা হচ্ছে না সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে লঞ্চ। কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই হাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘাটে ৪০টি ছোট গাড়ি, ১২০টি ট্রাক রয়েছে। তবে ঘাটের সামনে রাস্তায় ৩৫০টি ট্রাক রয়েছে। লঞ্চে যাত্রী চাপ রয়েছে। তবে গাদাগাদি নেই। গাদাগাদি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।
শিমুলিয়া ফেরিঘাটের বিআইডব্লিটিসির উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হয়েছে। আজও ঘাটে যানবাহনের চাপ রয়েছে। ছোট গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী যানবাহনসহ সাড়ে ৩ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। যাত্রীরা সব লঞ্চে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ঘাটে ছোট-বড় ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। আজ আরও একটি ফেরি বাড়ানো হবে। ঈদের আগে আরও দুটি বাড়তে পারে। ঘাটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে।
ব.ম শামীম/এনএ