টাঙ্গাইলে দেশের বৃহৎ গোবিন্দাসীর পশুর হাটসহ ঈদ কেন্দ্রিক হাটগুলোতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর বেচাকেনা। ক্রেতারা বলছেন, এবার গরুর দাম বেশি। অন্যদিকে খামারিরা বলছেন, হাটে ক্রেতা না থাকায় গরু বিক্রি হচ্ছে কম।

ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল গরুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই মানুষ গরুর হাটে প্রবেশ করছেন। অনেককেই মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। হাট কর্তৃপক্ষের খাজনা আদায়কারীরাও মাস্ক পরেননি। হাটে খাজনা তোলা নিয়ে আছে অভিযোগ। ক্রেতারা বলছেন, গরু কিনতে হাটে খাজনা (রওনা) দিতে হয় গরু প্রতি সাতশ টাকা করে। কোরবানি ঈদ এলেই ইজারাদাররা ইচ্ছে মতো খাজনা আদায় করেন।

জানা গেছে, জেলার ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসীর পশুর হাটে প্রচুর পরিমাণে গরু উঠলেও বেচাকেনা তেমন নেই। কোরবানির ঈদের কয়েকদিন বাকি থাকায় ক্রেতারা হাটে গিয়ে গরুর দাম যাচাই-বাছাই করছেন। তারা চাইছেন কম দামে কিনতে। খামারিরাও দাম ছাড়ছেন না। ফলে হাটে পর্যাপ্ত গরু উঠলেও বিক্রি হচ্ছে কম। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে সাপ্তাহিক হাট ছাড়াও ঈদ কেন্দ্রিক হাটে গরু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এছাড়া অনলাইনেও মানুষ পছন্দ অনুযায়ী পশু ক্রয় করছেন।

ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী গরুর হাটে আসা ক্রেতারা জানান, হাটে গরু উঠেছে প্রচুর। তবে খামারিরা দাম চাইছেন বেশি। গতবারের তুলনায় এ বছর গরুর দাম অনেক বেশি। ঈদের আরও কয়েকদিন বাকি থাকায় খামারিরা গরু এখনই বিক্রি করছেন না বেশি দামের আশায়।

গরুর ব্যবসায়ী ও খামারিরা জানান, গরুর হাটে ক্রেতা খুব কম। যারা আসছেন তারা কম দাম বলছেন। হাটে বেচা-বিক্রি তুলনামূলক কম।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রানা মিয়া বলেন, জেলায় ২২৯টি হাটে গরু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এরমধ্যে ইজারাপ্রাপ্ত হাট রয়েছে ১৮৭টি। এছাড়া ঈদ কেন্দ্রিক অস্থায়ী ভিত্তিতে আরও ৪০টি হাটের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি পশুর হাটের জন্য প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। হাটে প্রচুর পরিমাণে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনেও খামারিরা গরুর ছবি পোস্ট করে ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারছেন।

অভিজিৎ ঘোষ/এসএসএইচ