মূল্য তালিকায় লেখা প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫৬০ টাকা। কিন্তু বিক্রেতা প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি করছিলেন ৫৮০ টাকায়। ক্রেতারাও কিনছিলেন মুখ বুজে। কিন্তু ক্রেতার ছদ্মবেশে মাংস কিনতে গিয়ে কসাই গোলাম রাব্বানিকে ধরে ফেলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ। 

শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকালে নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মাংস বিক্রেতা গোলাম রাব্বানিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ বলেন, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে মাংস বিক্রি করছিলেন ওই বিক্রেতা। এ অপরাধে তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ধারা ৪০ অনুযায়ী ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

একই অভিযানে মূল্য তালিকা না থাকায় ওই এলাকার সৈকত মাংসের দোকানকে ২ হাজার টাকা এবং লক্ষ্মীপুর এলাকার রাজিব মাংসের দোকানকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

এদিকে নগরীর লক্ষ্মীপুর, ঝাউতলা, সাহেববাজার ও নিউ মার্কেট এলাকায়ও অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় পণ্যের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ, ওজন, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকায় ঝাউতলা এলাকার প্রত্যাহিককে ৩ হাজার টাকা, মোড়কজাত পণ্যে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য না থাকায় সাহেব বাজারের এএম কনফফেশনারিকে ৫ হাজার টাকা এবং একই অভিযোগে ওই এলাকার রয়েল স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান চলাকালে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন  হাসান-আল-মারুফ।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর