সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের অন্য কোথাও না থাকলেও নলকা সেতু এলাকায় যানজট যেন একটা অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যেমন যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে, তেমনি সেতুর ওপরের সংযোগস্থল ও রাস্তা মেরামত করা হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য দেখা যায়নি। যার ফলে ইচ্ছা করলেও সেতু দিয়ে দ্রুত গাড়ি পারাপার সম্ভব হচ্ছে না। 

এদিকে মহাসড়কে দীর্ঘদিন গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও মেরামতের কাজ শেষ করে মহাসড়ককে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়নি। তাছাড়াও মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের কাজ এবার ঈদ যাত্রাকে আরও কয়েকগুণ বেশি ভোগান্তিতে ফেলতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের অন্য কোথাও উল্লেখযোগ্য যানজট দেখা না গেলেও মহাসড়কের মফিজ মোড় এলাকা থেকে নলকা সেতু হয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার যানজট দেখা গেছে। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কড্ডা এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল গণি।

তিনি বলেন, গাড়ির চাপ এই মুহূর্তে একটু কম থাকলেও আবারো বাড়বে। কিন্তু এর মাঝেই মফিজ মোড় এলাকার ৬ নং সেতু থেকে নলকা সেতু পর্যন্ত অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট রয়েছে। নলকা সেতুকেই এর মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

ঢাকা পোস্টকে একই কথা বলেছেন হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আলী। নলকা সেতুই যানজটের অন্যতম কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল গণপরিবহন চালু হয়েছে। রাস্তার গাড়ির প্রচুর চাপ রয়েছে।

এর মধ্যে নলকা সেতুটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ার কারণে সেখানে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। এ সকল কারণে নলকার পূর্বপাশ থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা পর্যন্ত যানজট প্রায়ই লেগে থাকছে। অন্যদিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের চান্দাইকোনা এলাকায় রাস্তা খারাপ হওয়ায় সেখানে কমবেশি যানজট থাকছে।

তবে এখন পর্যন্ত যানজট স্থায়ী না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মহাসড়কের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

শুভ কুমার ঘোষ/এসপি