আসন্ন ঈদুল আজহা ঘিরে গরুবাহী ট্রাকের চাপ বেড়েছে মহাসড়কে। এ ছাড়া যাত্রীবাহী পরিবহনের চাপও কম নয়। এতে করে সাভারের মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। এসব সড়কে প্রায় ২৪ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (১৬ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে সাভারের ঢাকা-আরিচা, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড ও নবীনগর-চন্দ্রা ঘুরে দেখা যায়, সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নবীনগর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত মহাসড়কে প্রায় ১৭ কিলোমিটার ও বাইপাইল থেকে জিরাবো বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো মানুষ।

আশুলিয়ার কবিরপুর থেকে জামগড়া যাবেন মোহাইমিনুল নামের এক যাত্রী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সকাল সাড়ে ৮টায় জামগড়া যাওয়ার জন্য একটি বাসে উঠি। বাসটি আশুলিয়া চক্রবর্তী এলাকায় এসে থেমে আছে প্রায় এক ঘণ্টা আগে। তবে ধীরে ধীরে বাস এগুচ্ছে। এভাবে বাইপাইল পৌঁছাতে আরও এক ঘণ্টা লাগবে। ১৫ মিনিটের সড়কে ২ ঘণ্টায় পৌঁছাতে হচ্ছে। 

বাইপাইল থেকে আব্দুল্লাহপুর যাবেন মেহেদী হাসান। তিনি আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের একটি বাসে উঠে প্রায় দেড় ঘণ্টায় আশুলিয়ার জিরাবো বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছেছেন। এরপর আর যানজট তেমন নেই। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তিনি বলেন, গণপরিবহন চালু হতে না হতেই এ রকম যানজট হবে ভাবতে পারিনি। এ রকম জানলে হাতে সময় নিয়ে বের হতাম।

আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের চালক বলেন, সড়কে অনেক গাড়ি নেমেছে। সামনে ঈদ, এ ছাড়া গাড়ি বন্ধ থাকায় সবাই অভাবে পড়েছে। ইনকাম না করতে পারলে ছেলে-মেয়েদের ফুটপাতের জামাও কিনে দিতে পারব না। পরিবহন শ্রমিকের পাশাপাশি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহনও কম নয়। মোট কথা সড়কে গাড়ির চাপ বেশি হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। 

নীলফামারী থেকে গরু নিয়ে এসে যানজটে পড়েছেন পিকআপ চালক শাহজালাল। তিনি বলেন, যুমনা সেতুতে একটু যানজটে পড়েছিলাম। সারা সড়কে ভাল এসে চন্দ্রায় আটকে গেছি। দেড় ঘণ্টায় জিরানী এসেছি। তীব্র যানজটে অবস্থা খুব খারাপ, তীব্র রোদে গরুগুলোও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। হাটে পৌঁছাতে পারলেই স্বস্তি পাই।

এ ব্যাপারে সাভার ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন আব্দুস সালাম বলেন, দূরপাল্লারসহ গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরুবোঝাই ট্রাক ঢুকছে ঢাকায়। অতিরিক্ত গাড়ি প্রবেশ করায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যানজট নিরসনের জন্য। যানজট দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে।

মাহিদুল মাহিদ/এসপি