রংপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ দুই বছর ১০ মাস পর সিএমএম আদালতের কার্যক্রম শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দাফতরিক ও বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন বিচারক আ হ আহসানুর হক। তিনজন বিচারক ও দশজন কর্মচারির সমন্বয়ে এই আদালতের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এই আদালতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয়টি থানার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। থানা ছয়টি হলো কোতোয়ালি, তাজহাট, মাহিগঞ্জ, হারাগাছ, পরশুরাম ও হাজিরহাট থানা। মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতায় ২৪০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যে ছয়টি থানা ছাড়াও দুটি পুলিশ ফাঁড়ি (ধাপ ও নবাবগঞ্জ) রয়েছে।

রংপুর চিফ জুডিশিয়াল আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সিএমএম আদালতের (অতিরিক্ত) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল আলম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সকালে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আ হ আহসানুর হককে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শওকত আলী ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর বিচারিক কার্যক্রম শুরু করায় বিভিন্ন কর্মকর্তারা আহসানুর হককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল-মেহবুব ও চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারকগণ উপস্থিত ছিলেন।

বহুল কাঙ্ক্ষিত সিএমএম আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় মামলার জট কমবে বলে আশা ব্যক্ত করেন রংপুর আইনজীবী সমিতির নেতারা। সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামাণিক জানান, বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়াতে মানুষের ভোগান্তি কমবে।

এদিকে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শওকত আলী জানান, রংপুরে সিএমএম আদালতের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের উপস্থিতিতে করার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এটা করা সম্ভব হয়নি।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর