সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে যানজট
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিধিনিষেধ শিথিল করায় সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস ও অন্যান্য গণপরিবহনের চাপ পড়েছে। বেড়েছে কোরবানির পশু পরিবহন। এতে সিরাজগঞ্জের ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের কড্ডার পশ্চিম এলাকার ৬ নম্বর সেতু থেকে নলকা সেতু হয়ে হাটিকুমরুল গোল চত্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে ৬ নম্বর সেতু পর্যন্ত আরও প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তায় যান চলাচলে ধীরগতি রয়েছে। নলকার পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল গণি ও হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আলী।
বিজ্ঞাপন
মহাসড়ক ঘুরে পুলিশের ট্রাফিক ও হাইওয়ে বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী মহাসড়কে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়কে গাড়ির অত্যাধিক চাপ থাকায় যানজট ও ধীরগতি রয়েছে। এদিকে মহাসড়কে কাজ চলার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ নলকা সেতুতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এছাড়াও নলকা সেতু এলাকাসহ মহাসড়কের জেলাজুড়ে কাজ করছে জেলা পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশ।
মহাসড়কের কড্ডার মোড় এলাকা থেকে দুপুর ২টার দিকে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. আব্দুল গণি ঢাকা পোস্টকে জানান, ঢাকাগামী মহাসড়কে যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়কে কিছুটা যানজট ও ধীরগতি রয়েছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন বাস বন্ধ থাকার পর আজ গণপরিবহন চালু হওয়ায় রাস্তার গাড়ির প্রচুর চাপ রয়েছে। এছাড়াও নলকা সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে সেখানে সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এ সব কারণে নলকার পূর্বপাশ থেকে হাটিকুমরুল গোল চত্বর এলাকা পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে যানজট স্থায়ী না। মহাসড়কের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর