রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলজুড়ে চলছে ভেজাল কীটনাশকের রমরমা বাণিজ্য। নানান কৌশলে অবৈধ এই কারবার চলছে। মঙ্গলবার  (১৩ জুলাই) বিকেলে নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে রাজশাহী হয়ে ভেজাল কীটনাশকের চালান যাচ্ছিল বাগমারায়।

নগর গোয়েন্দা পুলিশ নগরীর নওদাপাড়া আমচত্বর এলাকায় ট্রাকভর্তি কীটনাশকের সেই চালানটি আটকে দিয়েছে। এই ঘটনায় আলাদা অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে ভেজাল কীটনাশক কারবারি বাগমারার দেওপাড়া মধ্যপাড়া গ্রামের এছার উদ্দিনের ছেলে মাহাবুব আলম (৩৩), তার সহযোগী আশিক (২০) ও বানাইপুর গ্রামের ট্রাকচালক সোহেল রানা (২৬)।

পুলিশ বলছে,  ট্রাক থেকে ২৪৫টি কার্টনে ২ হাজার ৪৫০ কেজি বাসুডিন ডায়াজিনন ১০ জি জব্দ করা হয়েছে। এর আনুমানিক বাজারমূল্য ৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৫০ টাকা। জব্দ কীটনাশকের পুরোটাই ভেজাল ও নকল। ট্রাকটিও জব্দ করা হয়। 

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই নগরীর নওদাপাড়া আমচত্বর এলাকায় চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে একটি ট্রাক আচত্বর হয়ে বাগমারার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। সেটি আটকে তাতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এসময় ট্রাকটি থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল কীটনাশক পাওয়া যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাক চালক সোহেল রানা ও তার সঙ্গি আশিক এসব মালামাল  মাহাবুব আলমের বলে জানান। ট্রাক ভর্তি ভেজাল কীটনাশক তার কাছেই যাচ্ছিলো। বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মাহবুবকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুব পুলিশকে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ভেজাল কীটনাশক  ব্যবসায় যুক্ত। ভেজাল কীটনাশক সংগ্রহ করে একই এলাকার মোখলেছুর রহমান (৩০) এবং নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার কামারপাড়া বাজারের রশিদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ কাউছার আলীর (৪৮) মাধ্যমে বাজারজাত করছিলেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় আইনত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসআর