রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড : ২ লাখ টাকার অনুদান পেল নিহত মিনার পরিবার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লাফিয়ে পড়ে নিহত কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের মিনা আক্তারের (৩৩) পরিবারকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে দুই লাখ টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় মিনা আক্তারের স্বামী মো. হারুন মিয়ার কাছে দুই লাখ টাকার অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
বিজ্ঞাপন
মিনা আক্তার (৩৩) করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের কুকিমাদল গ্রামের মো. হারুন মিয়ার স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর মিনা আক্তারের লাশ পাওয়া যায় ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে স্বামী হারুন মিয়া স্ত্রীর লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন করেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে শ্রমিক মারা যাওয়ার বিষয়টি মর্মান্তিক। এ অগ্নিকাণ্ডে কিশোরগঞ্জের কতজন মারা গেছে তার সঠিক তালিকা এখনো পাওয়া যায়নি। তবে জেলার সদর, করিমগঞ্জ, কটিয়াদী এবং মিঠামইনের অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
যারা নিখোঁজ তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। সংশ্লিষ্ট পরিবারকে খাদ্য সহায়তা, ডিএনএ স্যাম্পল দিতে স্বজনদের গাড়ি ভাড়া ও লাশ দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা হবে।
অনুদানের চেক হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-মহাপরিদর্শক শাহ মোফাখখারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার এবং করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবু রিয়াদ প্রমূখ।
নতুন করে নিখোঁজের তালিকায় যুক্ত হয়েছে- জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের মথুরাপাড়া গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের স্ত্রী পাখিমা আক্তার (৩৫), একই গ্রামের তাহের উদ্দিনের একমাত্র ছেলে নাঈম (১৮), একই ইউনিয়নের দক্ষিণ নানশ্রীর মাসুদ মিয়ার ছেলে সোহাগ (১৩), মুলামখারচরের সুজন মিয়ার মেয়ে ফাতেমা আক্তার (১৭), সদর উপজেলার বৌলাই দক্ষিণ রাজকুন্তি গ্রামের আব্দুল কাদিরের মেয়ে আমেনা (৪০), শেওড়া গ্রামের কাইয়ুমের মেয়ে খাদিজা, বড়খাল পাড়ের আজিজুল হকের মেয়ে মোছা. রহিমা আক্তার (৪০) ও জেলার মিঠামইন উপজেলার গোপদীঘি গ্রামের মো. সেলিমের মেয়ে সেলিনা বেগম (১৪)।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কিশোরগঞ্জের চার উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী, একই পরিবারের ছয়জনসহ কিশোরগঞ্জের ২০ নারী-পুরুষ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ছাড়া কারখানার তিনতলা থেকে লাফিয়ে আহত অবস্থায় ফিরে এসেছেন জেলার কটিয়াদী উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের আসমা আক্তার ও সোহাগ মিয়া।
এসকে রাসেল/এসপি