কোপা আমেরিকার খেলা নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। বিশেষ করে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার খেলার পর সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাম উঠে এসেছে। এদিকে রোববার (১১ জুলাই) ভোরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফাইনাল ম্যাচ। 

‘সুপার ক্লাসিকো’ এই ম্যাচ ঘিরে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা থেকে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ। জেলার বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লায় মোতায়েন থাকবেন পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্য।

শনিবার (১০ জুলাই) দিনভর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা সদর ও উপজেলা সদরের পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করা হয়। এর মধ্যে সবাইকে ঘরে বসে কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচ দেখা, বাইরে বড় পর্দা কিংবা চায়ের দোকানে বসে খেলা দেখার আয়োজন না করা, ম্যাচ শেষে আনন্দ মিছিল করতে না দেওয়া এবং পটকা ফাটিয়ে উল্লাসও করা যাবে না বলে মাইকিংয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ৬ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল বাজারে নোয়াব মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি আর্জেন্টিনা সমর্থক মো. জীবন ও তার সঙ্গীদের দ্বারা হামলার শিকার হন। নোয়াবের ভাতিজা রেজাউল ব্রাজিলের সমর্থক। খেলা নিয়েই রেজাউল ও জীবনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরেই রেজাউলের চাচাকে মারধর করেন জীবন ও তার সঙ্গীরা।

এ ঘটনায় পাল্টা হামলা হিসেবে ওই দিন রাতেই জীবনের তিন সঙ্গীকে ধরে মারধর করে ব্রাজিল সমর্থকরা। ফলে কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে সংঘাত হতে পারে, সেই আশঙ্কা থেকে তৎপর হয়ে ওঠে জেলা পুলিশ। সে জন্য জেলায় বিট পুলিশের ১১৬টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে চারজন করে সদস্য রয়েছেন। এর বাইরে ২৫টিরও অধিক বিশেষ টিম দায়িত্ব পালন করবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন কার্যকরে পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করছে। তবে কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে জন্য পুলিশের টিমগুলো আরও বেশি তৎপর থাকবে। এবার খেলা দেখতে হবে ঘরে বসে। উন্মুক্ত কোনো স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখার আয়োজন করা যাবে না।

আজিজুল সঞ্চয়/এনএ