ইউএনওকে আপা বলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধর
মানিকগঞ্জে চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য বের হন সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লা। লকডাউন অমান্য করে দোকান খোলা রাখার দায়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন তিনি। এ সময় ইউএনওকে স্যার না বলে আপা বলায় ওই ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে থাকা এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের জায়গীর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম তপন চন্দ্র দাস (৪৫)। তিনি উপজেলার জয়মন্টপ গ্রামের গুরু চন্দ্র দাসের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলার জায়গীর বাজারে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও রুনা লায়লা। এ সময় ওই বাজারে প্রিতম জুয়েলার্স নামে স্বর্ণের দোকান খোলা থাকায় দোকান মালিক তপন চন্দ্র দাস ও একাধিক ক্রেতাকে জরিমানা করা হয়। তপনকে শাসানো হলে তিনি ইউএনওকে স্যার না ডেকে আপা বলে ক্ষমা চান। ঘটনাস্থলে ইউএনওর সঙ্গে থাকা পুলিশের এক সদস্য তখন ওই ব্যবসায়ীকে লাঠিপেটা করেন।
মারধরের শিকার তপন চন্দ্র দাস বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে দোকান বন্ধ রেখেছিলাম। তবে ক্রেতাদের পূর্বের কিছু মালের অর্ডার থাকায় সেগুলো ডেলিভারি দিতেই আজ দোকান খুলেছিলাম। এ সময় দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে হাজির হন। আমি জরিমানার টাকাও পরিশোধ করি। পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে ইউএনওকে আপা বলে ক্ষমা চাই। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে লাঠি দিয়ে তিন চারটি বারি মারেন এক পুলিশ সদস্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আজকে বিকেলে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের জায়গীর বাজারেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে স্বর্ণের দোকান খোলা রাখা এবং লোকসমাগম করে পণ্য বিক্রির দায়ে দোকান মালিকসহ কয়েকজন ক্রেতাকে জরিমানা করা হয়েছে এবং দোকান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়নি। দোকান বন্ধ করার জন্য কয়েকটি ধমক দেওয়া হয়েছিল। তবে আমি চলে আসার পর কী হয়েছে বলতে পারছি না।
সোহেল হোসাইন/আরএআর