বগুড়ায় উপহারের ঘর নির্মাণে দুর্নীতি, বর্তমান ও সাবেক ইউএনও ওএসডি
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে অসহায়দের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে বগুড়া জেলার বর্তমান ও সাবেক দুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
এরা হলেন- জেলার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ ও শাজাহানপুরের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভীন।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) বিকেলে বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ওই দুই ইউএনওর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় মামলা করা হবে।
জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খানপুর বুড়িগাড়ি নামক স্থানে খালের কিনারায় ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২২টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য ২২টি আধাপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে সুবিধাভোগীদের হাতে এসব ঘরের জমির দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু নতুন ঘরে ওঠার আগেই গত ২৯ জুন সকালে ভারী বৃষ্টিতেই কয়েকটি ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ে। এ নিয়ে শেরপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়- ঘর নয় বাথরুমের গাইড ওয়াল ধসে গেছে। এ ঘটনায় শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখকে ওএসডি করা হয়েছে।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২ এর আওতায় অতিদরিদ্র ভূমিহীনদের জন্য সরকারিভাবে আধাপাকা ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে মোতাবেক এই উপজেলায় ২ কোটি ৮৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দুই শতক করে খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে অতিদরিদ্র ১৬৩টি ভূমিহীন পরিবারকে একটি করে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। দুই কক্ষ, রান্না ঘর ও টয়লেটসহ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের প্রত্যেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
অপরদিকে বগুড়ার শাজাহানপুরের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভীনকে একই প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ওএসডি করা হয়েছে। তিনি গত জানুয়ারি মাসে স্বেচ্ছায় বদলি হয়ে পরিবেশ অধিদফতরের রাজশাহী অফিসে যোগ দেন। তার বিরুদ্ধে উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ ছিল। একমাস অফিস না করারও অভিযোগ ছিল মাহমুদা পারভীনের বিরুদ্ধে।
সাখাওয়াত হোসেন জনি/আরএআর