রোজী ফিরতে চান আপন ঠিকানায়
রোজীর বসয় যখন চার-পাঁচ বছর, তখন হারিয়ে যান তিনি। আজ তার স্বামী-সংসার সবই হয়েছে। কিন্তু শুধু জানেন না পরিবারের সন্ধান। তাই নিজ বাবা ও ভাই-বোনের কাছে ফিরতে চান রোজী। যেতে চান জন্ম ঠিকানায়। কিন্তু কীভাবে যাবেন, কিছুই যে তার মনে নেই।
রোজীর শুধু মনে আছে তার বাবার নাম আবুল খায়ের ও মায়ের নাম মৃত ছালেহা খাতুন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রোজী তৃতীয়। বড় দুই ভাইয়ের নাম মিজান ও মিলন। এরপর ছোট ভাই শাকিল ও ছোট বোন রুবি।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২ জুলাই) আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠান ‘আপন ঠিকানার’ ২৪ নম্বর পর্বে রোজীর হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান প্রকাশিত হয়।
অনুষ্ঠানে রোজী জানান, ছোটবেলায় তার মা মারা যাওয়ার পর তাকে মামার কাছে থাকার জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু মামা তাকে থাকার জন্য পাঠান এক ফুফুর বাসায়। একদিন সেই ফুফুর বাসা নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার আবদুল্লাহ মিয়ার হাট থেকে হারিয়ে যান রোজী। বাসা থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেতে পারেননি রোজী।
তিনি জানান, সুধারাম থানায় একটি জিডি করা হয়। তারপর তাকে এক এতিমখানায় বড় হতে হয়। প্রায় ১৩ বছর সেখানে থাকার পর সেখানকার এক শিক্ষক তাকে বিয়ে দেন।
তবে অনুষ্ঠানে রোজী নিজ জন্ম এলাকা, জেলা বা উপজেলার নাম কিছুই মনে করতে পারেননি। শুধু হারিয়ে যাওয়ার আগের স্মৃতি, বাবা-মা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও নামসহ যতটুকু মনে ছিল, তা তুলে ধরেন।
আবদুল্লাহ মিয়ার হাটের বাসিন্দা মাঝহারুল ইসলাম রাসেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আবদুল্লাহ মিয়ার হাট বর্তমানে কবিরহাট থানার সুন্দলপুর ইউনিয়নের রাজুরগাঁও গ্রামে অবস্থিত। আগে আবদুল্লাহ মিয়ার হাট নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার মধ্যে ছিল। রোজীর বর্ণনা অনুযায়ী আমার ধারণা, বাজারের উত্তর দিকে বড় বাড়িই রোজীর বাড়ি ছিল।
তিনি বলেন, রোজীর হারিয়া যাওয়া স্থান নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও খবর নিতে হবে। আমরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য চারদিকে খবর নেওয়া শুরু করেছি। আশা করি, খুব দ্রুত রোজী তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারবেন।
হাসিব আল আমিন/এনএ