নওগাঁয় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই-ছুঁই
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে নওগাঁয় প্রধান দুটি ছোট যমুনা ও আত্রাই নদ-নদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল।
এ ছাড়া নাগর নদের পানিবৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। ছোট যমুনা নদীর লিটন ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ও আত্রাই নদের রেলস্টেশন পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ছুঁই-ছুঁই করছে বিপৎসীমা।
তবে প্রতিদিনই নদীগুলোতে যে পরিমাণ পানি বাড়ছে, তাতে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বিজ্ঞাপন
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল ঢাকা পোস্টকে জানান, টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে কয়েক দিন ধরেই যমুনা ও আত্রাই নদীর পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। আগামী কয়েক দিন যদি পানি এভাবে বাড়ে, তাহলে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে বেশি সময় লাগবে না। প্রচণ্ড বৃষ্টি উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, নওগাঁর আত্রাই নদের সব পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ছোট যমুনা নদীর পানিও বর্তমানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো পরিদর্শন করছি। চেষ্টা করছি যতটুকু মেরামত করা যায়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দুই-তিন দিন পানি আরও কিছুটা বাড়বে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, নওগাঁর সদর, মান্দা, আত্রাই, রানীনগর, পোরশা ও সাপাহার উপজেলার ৪৫টি গ্রামের ৬০ হাজার মানুষ নদীতীরে বসবাস করছে। জেলা প্রশাসন থেকে ইতোমধ্যে নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শামীনূর রহমান/এনএ