সিরাজগঞ্জে হঠাৎ করেই শহররক্ষা বাঁধে ধস নেমেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুর পৌনে ২টার দিকে পানির ঘূর্ণনের কারণে এই ধস শুরু হয় বলে জানা গেছে। 

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম। 

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যেই ভাঙন রোধে সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলতে শুরু করেছে। তাদের সহযোগিতা করছেন স্থানীয়রা। তবে ভাঙন ঘিরে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে জনমনে।

টানা বর্ষণ ও যমুনা নদীতে পানি বাড়ার ফলে হঠাৎ করেই সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর স্থায়ী শহররক্ষা বাঁধে ধস দেখা দেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ধস ঠেকানোর জন্য বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে। ভাঙনের খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শহরবাসী।

মঙ্গলবার দুপুর থেকে শহররক্ষা বাঁধের পুরাতন জেলখানা ঘাট এলাকায় এ ধস শুরু হয়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙনের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. একরামুল হক প্রমুখ ভাঙনের স্থান পরিদর্শন করেন। 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে হঠাৎ করেই শহররক্ষা বাঁধের পুরাতন জেলখানা ঘাট অংশে ধস দেখা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে প্রায় ১০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।  

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি অনুকূলে আছে। আমরা ইতোমধ্যেই ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলতে শুরু করেছি। টানা বর্ষণ ও নদীর পানির তীব্র স্রোতে ঘূর্ণনের সৃষ্টি হয়ে বাঁধের নিচ থেকে মাটি সরে সিসি ব্লকগুলো দেবে গেছে। দুদিন আগেও আমরা এখানে ভালো অবস্থা দেখেছি। আজ আকস্মিকভাবে হঠাৎ করেই ধস দেখা দিয়েছে। ধস ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করা হয়েছে। 

জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. একরামুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এতো বড় ভাঙনে আতঙ্কিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলা ও উদাসীনতার জন্যই আজ এই অবস্থা।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান ঢাকা পোস্টকে জানান, এর আগেও এখানে একাধিকবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জ শহরকে যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় ২০০১ সালে ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। 

শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর