অভিযুক্ত ডা. জুনায়েদ খান লেলিন

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. জুনায়েদ খান লেলিনের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ রুনা (২০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৮ জুন) সকালে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। প্রসূতি রুনা কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের টুঙ্গিবাড়িয়া গ্রামের জসিমের স্ত্রী। 

জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৫ জুন) প্রসব বেদনায় অসুস্থ হয়ে পড়লে রুনাকে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময় কর্তব্যরত নার্স অনেক চেষ্টা করার পরও বাচ্চা প্রসব করাতে পারেননি। পরে নার্সদের পরামর্শে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. জুনায়েদ খান লেলিনের কাছে যান রুনার স্বজনরা। তার পরামর্শে রুনাকে তার ব্যক্তি মালিকানাধীন কলাপাড়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ওইদিন রাতেই রুনার সিজার করেন ডা. লেলিন। পরদিন শনিবার (২৬ জুন) সকালে নবজাতক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং ওইদিনই নবজাতক মারা যায়। এরপর রোববার (২৭ জুন) রাত ৮টায় ডা. লেলিনের ভাড়া করা গাড়িতে করে প্রসূতি রুনাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সোমবার (২৮ জুন) ভোররাতে সেখানে মারা যান রুনা।

রুনার মা হাসিনা বেগম বলেন, ডাঃ. লেলিনের ভুল চিকিৎসায় আমার মেয়ে ও নবজাতক মারা গেছে। আমি তার বিচার চাই। 

রুনার স্বামী জসিম উদ্দিন বলেন, লেলিনের ভুল চিকিৎসায় তার নবজাতকসহ স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সিজারের সময় নবজাতকের মাথা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কেটে যাওয়ার বড় ক্ষত ছিল। সিজারের পর সেলাই না করে কসটেপ দিয়ে কাটা জায়গা আটকে দেওয়া হয়েছিল। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক জুনায়েদ খান লেলিনের চেম্বারে গেলে তার চেম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তার মুঠোফোনেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ নিয়ে আমার কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখব।

কাজী সাঈদ/আরএআর