এক বছর আগে মারা গেছেন জেলে মো. জাহাঙ্গীর। তবে তার নামে রয়েছে দুটি জেলে নিবন্ধন কার্ড। একটি আসল, একটি নকল। দুটি কার্ডের বিপরীতে চাল নেওয়া হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। 

তবে এবার ইউপি সদস্য এ চাল নিতে পাঠালে জালিয়াতি ধরা পড়ে চেয়ারম্যানের হাতে। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদে।   

জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের নামে দুটি জেলে নিবন্ধন কার্ড জমা হয়। কার্ড আসল-নকল যাচাই-বাছাই করার সময় জানাজানি হয় জাহাঙ্গীরের এক বছর আগে মৃত্যু হয়েছে। 

তার কার্ড নিয়ে আসা রাসেল বলেন, আমি নিজের নামের চাল নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য গাড়ি খুঁজছিলাম। এমন সময় ইউপি সদস্য মো. আলম ফকির আমাকে কার্ডটি দিয়ে চাল ছাড়াতে বলেছেন। আমি জাহাঙ্গীরকে চিনি না এবং মারা গেছেন তাও জানি না। 

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলম ফকির বলেন, আমি ওকে কার্ড দেইনি। কোথা থেকে এনেছে জানি না। এটা আমার প্রতিপক্ষের চক্রান্ত। তিনি আরও বলেন, আমি কোনো জেলের মূল নিবন্ধন কার্ড উত্তোলন করেনি। আমাকে সকলে ফটোকপি দিয়েছে। মূল কার্ড চেয়ারম্যানের হাতে দিয়ে জেলেরা চাল নিচ্ছেন। 

ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন বলেন, আমি জানতে পেরেছি লতাচাপলী ইউনিয়নে জেলে নিবন্ধনের বেশ কিছু নকল কার্ড বানানো হয়েছে। ওই সমস্ত নকল কার্ড বাদ দেওয়ার জন্য আসল কার্ড জমা নিয়ে চাল বিতরণ করছি। ভুলবশত জাহাঙ্গীরের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, এরআগে বৃহস্পতিবার ১নং ওয়ার্ডের চাল বিতরণের সময় এক নারী জাহাঙ্গীরের কার্ড নিয়ে আসেন। কার্ডটি দেখে আমার কাছে নকল মনে হয়। এসময় ইউপি সদস্য আলম ফকির কার্ডটি বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে বলে চাল দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। আমি কার্ডটি আলাদা রেখে চাল দিয়েছি। এরপর শুক্রবার জাহাঙ্গীরের আসল কার্ডটি নিয়ে খাজুরা এলাকার রাসেল নামের এক যুবক চাল নিতে আসেন। তখন আসল-নকল যাচাই-বাছাই করার সময় জানতে পারি জাহাঙ্গীর এক বছর আগে মারা গেছেন। রাসেল আমার কাছে স্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য আলম ফকির কার্ডটি জমা দিয়ে চাল ছাড়াতে বলছেন। 

কাজী সাঈদ/এনএফ