নীলফামারীতে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হলো রাস্তা
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের খামার গাড়াগ্রাম বাজারের পাকা সড়কের মোড় থেকে তিস্তা সেচ ক্যানেল পর্যন্ত এক কিলোমিটার কাঁচা সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এবার স্বেচ্ছাশ্রমে ওই সড়কের সংস্কারকাজ করে নতুনভাবে তেরি করেছে গ্রামবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে এলেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসী নিজেরা এক সপ্তাহ ধরে সড়কটি সংস্কার করছেন।
বিজ্ঞাপন
ওই সড়ক সংস্কারের বিষয়ে লিখিত কোনো আবেদন পাইনি। তারপরও আমি খোঁজ নিয়ে সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আবুল হাসনাত সরকার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, কিশোরগঞ্জ
জানা যায়, খামার গাড়াগ্রাম পাকা রাস্তার মোড় থেকে রংপুর-দিনাজপুর সেচ ক্যানেল পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কটি চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী। এলাকাবাসী সড়কটি সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করে কোনো ফল না পেয়ে নিজেরাই সড়কটি সংস্কারের কাজে লেগে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সরেজমিন দেখা যায়, স্বেচ্ছায় সড়কটি সংস্কারকাজ করছেন এমদাদুল মিয়া, শফিকুল ইসলাম, আব্দুল মালেকসহ ৩০ জন সেচ্ছাসেবী। তারা জানান, রংপুর ডালিয়া মহাসড়কের গাড়াগ্রাম জুম্মার পাড় হয়ে খামার গাড়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী। আমরা গ্রামবাসী সহজে খামার গাড়াগ্রামের মধ্যে দিয়ে ক্যানেল হয়ে সহজে যাতায়াত করি। কিন্তু ওই এক কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সড়কটি সংস্কারের জন্য জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আবেদন করি কিন্তু কোনো কাজ না হওয়ায় আমরা নিজেরাই সড়কটি সংস্কার করছি।
গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন সংস্কার প্রকল্পে প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু কী কারণে তা বাদ গেছে, আমি জানি না।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবুল হাসনাত সরকার বলেন, ওই সড়ক সংস্কারের বিষয়ে লিখিত কোনো আবেদন পাইনি। তারপরও আমি খোঁজ নিয়ে সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এনএ