রংপুর নগরে পণ্যের মোড়কে পাটের বদলে নিষিদ্ধ পলিব্যাগ ব্যবহারের অপরাধে ছয়টি চালগুদামের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে নগরের মাহিগঞ্জের বিভিন্ন চাল গুদামে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় ছয়টি গুদামের মালিককে পলিব্যাগ ব্যবহারের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিমাণে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে মাহিগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। অভিযানে পাট অধিদপ্তর ও মেট্রোপলিটন পুলিশ সহযোগিতা করে।

প্রতিটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। পণ্যের মোড়কে পাটের ব্যবহার নিশ্চিতকরণে রংপুর জেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও সরকারিভাবে নিষিদ্ধ পলিব্যাগ মোড়ক হিসেবে ব্যবহার বন্ধে বিভিন্ন চাল গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

মাহমুদ হাসান মৃধা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

জরিমানাপ্রাপ্ত চাল গুদামগুলো হলো জয়নাল ট্রেডার্স, ফারুক ট্রেডার্স, ফিরোজ ট্রেডার্স, আনসার ট্রেডার্স, মোখলেস ট্রেডার্স ও তাজুল ট্রেডার্স। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, প্রতিটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। পণ্যের মোড়কে পাটের ব্যবহার নিশ্চিতকরণে রংপুর জেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও সরকারিভাবে নিষিদ্ধ পলিব্যাগ মোড়ক হিসেবে ব্যবহার বন্ধে বিভিন্ন চাল গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সরকারিভাবে ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা এবং একই বছর ৮ এপ্রিল সারা দেশে এইচডিপিই (হাইয়ার ডেনসিটি পলি ইথালিন) পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। আর পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধনী ২০১০) অনুযায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণের অপরাধে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে বিধান আছে।

আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় বর্তমানে পলিথিনের বিক্রি ও ব্যবহার কমছে না। ফলে নিত্যপণ্যের বাজারে পলিথিনের আধিপত্যে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। এমনকি পলিথিন ব্যাগে করে খাবার আনা-নেওয়া, হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে গরম খাবার বহন করা, ফ্রিজে পণ্য রাখতেও ব্যাপকভাবে পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে।

এনএ