নোয়াখালীতে লকডাউন অমান্য করায় ১০৮ মামলা
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয় ইউনিয়নে লকডাউনে কঠোর অবস্থানে ছিল নোয়াখালী জেলা প্রশাসন।
১২ জুন (শনিবার) থেকে ১৮ জুন (শুক্রবার) পর্যন্ত নোয়াখালীতে অভিযান পরিচালনা করে ১০৮টি মামলায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৪০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৯ জুন) সকালে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈকত রায়হান।
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খানের নির্দেশে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল আলমের তত্ত্বাবধানে করোনারোধে ১২ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত নোয়াখালীতে অভিযান পরিচালিত হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে আটটি টিম অভিযান চালিয়ে ১০৮ মামলায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৪০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এ সময় সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহ্বান জানানো হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে জেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। আমাদের সমাজে আইন অমান্য করার প্রবণতা রয়েছে। লকডাউন থাকা সত্ত্বেও মানুষজন নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। করোনার সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে চলমান লকডাউনের সময়সীমা সাত দিন বাড়ানো হয়েছে। ২৫ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সদর উপজেলায় সবধরনের গণপরিবহন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে। দূরপাল্লার বাস চৌমুহনী চৌরাস্তা অতিক্রম করতে পারবে না। এসব এলাকায় ফার্মেসি ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাঁচা বাজার খোলা থাকবে। শর্ত সাপেক্ষে খোলা থাকবে খাবার হোটেল। তবে হোটেলে বসে খাবার খাওয়া যাবে না।
জরুরি সেবা বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, চিকিৎসা সেবাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর কাজে নিয়োজিত পরিবহন এবং যানবাহনের পরিষেবা চালু থাকবে।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ জুন থেকে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে
হাসিব আল আমিন/এসপি