পুলিশ বাহিনীকে আরও বেশি জনমুখী করতে, মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু হয়েছে। এখন থেকে পুলিশ জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে পুলিশি সেবা পৌঁছে দেবে। এবং স্টিকারে দেওয়া নম্বরে কল দিলেই মিলবে পুলিশি সেবা। তাই প্রতিটি ঘরের দরজায় এ স্টিকার লাগানো হচ্ছে। যাতে মানুষ সহজেই পুলিশি সেবা পেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে কিশোরগঞ্জের সদর মডেল থানাধীন পৌরসভার ৪, ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ১৪ নং বিট পুলিশিংয়ের স্টিকার বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিট পুলিশিংয়ের মূল ধারণা হচ্ছে, পুলিশ কর্মকর্তারাই মানুষের কাছে তৃণমূল পর্যায়ে সেবা নিয়ে যাবেন। ওয়ার্ড ও শহরের মহল্লাগুলোকে বিটে বিভক্ত করে একজন উপপরিদর্শককে (এসআই) এর দায়িত্ব দেওয়া হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত এ পুলিশ কর্মকর্তারাই এলাকার আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রাখবেন ও প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নেবেন।

এর মাধ্যমে সমাজ থেকে মাদক, ইভটিজিং, চুরি, ডাকাতিসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কাজ কমে আসবে। মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। পুলিশ ও জনগণের মধ্য সম্পর্কের সেতুবন্ধ তৈরি হবে।

পুলিশ সুপার বলেন, আমরা বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশি সেবা নিয়ে জনগণের আরও কাছে যেতে চাই। মানুষের হৃদয় জয় করতে চাই। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি স্বনির্ভর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম, সদর মডেল থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এসকে রাসেল/এনএ