প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও ১০ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে এই ১০ জন মারা যান।

তাদের মধ্যে ৩ জন করোনায় ও ৭ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। ১০ জনের মধ্যে ৭ জনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১ জন, নওগাঁর ১ জন ও নাটোরের ১ জন মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে দুজন করে মারা গেছেন আইসিইউ, এবং ১, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া একজন করে মারা গেছেন  ৩ ও ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে।

এই এক দিনে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন তিন জন। তাদের মধ্যে একজন করোনার হটস্পট রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। অন্যদের মধ্যে একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও একজন নওগাঁর বাসিন্দা।

করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে একই দিনে হাসপাতালে মারা গেছেন আরও সাতজন। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ছয়জন এবং নাটোরের একজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে হাসপাতাল জানিয়েছে, ৩০৯ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৩৫৮ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ২০ জন।

করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৬৪ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৫৮ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৩৬ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন। এই এক দিনে হাসাপাতল ছেড়েছেন ৩১ জন।

বুধবার (১৬ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৮ জনের এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৩৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৭৭ ও রামেক ল্যাবে ১১৬ জনের নুমানায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।

পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীতে সবেচেয়ে বেশি ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং নাটোরে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এনএ