ভোলার সদর উপজেলায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করায় আজিজুল হক নামের এক কাঠমিস্ত্রির ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারী ফারুক বাবুর্চি পুলিশ লাইনসের বাবুর্চি হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে আজিজুল হক মিস্ত্রির ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

এ বিষয়ে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছেন সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নর ৮ নং ওয়ার্ডের ছোট আলগি গ্রামের বাসিন্দা সামছুল হকের ছেলে আজিজুল হক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধনিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ছোট আলগি গ্রামের নুরুল হক পণ্ডিতবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বিবি আয়শা ও তার স্বামী মফিজল হক পণ্ডিতের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে একই এলাকার আবদুস সাত্তার পক্ষের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এ বিষয়ে আয়শা বাদী হয়ে গত ৩১ জানুয়ারি জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করে। এ সময় একই এলাকার বাসিন্দা ফারুক বাবুর্চি আবদুস সাত্তার পক্ষের পক্ষাবলম্বন করে ঘটনায় প্রভাব সৃষ্টি করেন।

পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করায় আয়শা বেগম পক্ষকে বিভিন্নভাবে হুকমি-ধমকি দেন ফারুক। আর এর পেছনে আজিজুল হকের হাত আছে বলে ফারুক বাবুর্চি আজিজুল হককেও হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন।

অভিযোগে আরও জানা যায়, কয়েক দিন আগে আয়াশা বেগম পক্ষের সঙ্গে আবদুস সাত্তার পক্ষের মারামারি হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়। মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতে আবদুস সাত্তার পক্ষ আয়শা বেগমের বাড়ির বিদ্যুৎ-সংযোগ কেটে দেয়। পরে আয়শা বেগম আজিজুল হকের ফোন ব্যবহার করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন।

এতে ফারুক বাবুর্চির নেতৃত্বে তার ভাই ফরিদ, শরিফ, ভাতিজা হোসেন, সজিব মিলে আজিজুল হককে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা আজিজুল হককে উদ্ধার করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে ফারুক বাবুর্চি ভোলা পুলিশ লাইনসে তার বাবুর্চি পেশার পরিচয় ব্যবহার করে পুলিশের কাছে থেকে হামলাকারীদের ছাড়িয়ে রাখেন। পরে পুলিশ চলে গেলে ফারুক বাবুর্চি পুনরায় আজিজুল হককে ধাওয়া করেন।

এ বিষয়ে আজিজুল হক বলেন, ফারুক গংদের হাত থেকে রেহাই পেতে আমি বুধবার (১৬ জুন) জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছি।

অভিযুক্ত ফারুক বাবুর্চি বলেন, এমন কিছুই ঘটেনি আজিজ মিস্ত্রির সঙ্গে। একটু কথা-কাটাকাটি হইছে মাত্র। অন্য কিছুই নয়।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনএ